-->
নিউজিল্যান্ড থমকে গেছে ৬০ রানেই

নিউজিল্যান্ড থমকে গেছে ৬০ রানেই

 

বড় জয়ে সিরিজ শুরু করল বাংলাদেশ
অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সর্বশেষ দ্বিপাক্ষিক সিরিজের আগে দলটির বিপক্ষে বাংলাদেশ খেলেছিল ৪টি টি-টোয়েন্টি। সবকটি ম্যাচই ছিল বিশ্বকাপে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অবশ্য এর আগে বাংলাদেশ খেলেছে ১০টি ম্যাচ, এর মাঝে দ্বিপাক্ষিক সিরিজেই ৮টি। তবে অস্ট্রেলিয়া বা নিউজিল্যান্ড- দুই দলের কারও বিপক্ষেই টি-টোয়েন্টিতে জয় ছিল না বাংলাদেশের। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সে খরা কেটেছে, বাংলাদেশ সিরিজ জিতেছে ৪-১ ব্যবধানে। এবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও প্রথম ম্যাচেই টি-টোয়েন্টিতে জয়ের খরা কাটাল বাংলাদেশ। সেটাও বেশ দাপটের সঙ্গে। নিউজিল্যান্ডকে তাদের টি–টোয়েন্টি ইতিহাসে সবচেয়ে কম রানে (৬০) অলআউট করে দিয়ে ম্যাচটি বাংলাদেশ জিতেছে ৭ উইকেটে। তাও আবার ৩০ বল হাতে রেখে।

পরপর দুই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডকে তাদের সর্বনিম্ন রানের স্কোর ‘উপহার’ দিল বাংলাদেশ। ৬০ রানে অলআউট হয়ে যাওয়ার পর নিউজিল্যান্ডের স্পিনাররা চেষ্টা করেছেন, দ্রুত বাংলাদেশের ২ উইকেট তুলে নেওয়া কিউই স্পিনাররা আঁটসাঁট বোলিংয়ে চাপ তৈরি করে। তবে ৬০ রানের সম্বল তাঁদের সেই লড়াইয়ের জন্য মোটেই যথেষ্ট ছিল না।

প্রথম ওভারেই আঘাত করেছিলেন মেহেদী হাসান
প্রথম ওভারেই আঘাত করেছিলেন মেহেদী হাসান
টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক টম ল্যাথাম, তবে মিরপুরের উইকেটে তাঁদের দুর্দশা শুরু হয়েছে প্রথম ওভার থেকেই। অভিষেক হওয়া রচিন রবীন্দ্র প্রথম ওভারেই মেহেদী হাসানের বলের গতি বুঝতে না পেরে দিয়েছেন ফিরতি ক্যাচ। নিউজিল্যান্ডের স্কোর দ্রুতই হয়ে যায় ৯ রানে ৪ উইকেটে। সাকিব আল হাসানের নীচু হওয়া বলটাকে স্টাম্পে ডেকে এনেছেন উইল ইয়াং। চতুর্থ ওভারে এসে নাসুম আহমেদ করেছেন জোড়া আঘাত—আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে স্লগ সুইপ খেলা কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম ধরা পড়েছেন স্কয়ার লেগে, ২ বল পর টম ব্লান্ডেল হয়েছেন বোল্ড।

পরের সময়টা শুধু পায়ের নীচে একটু মাটিই খুঁজে বেরিয়েছে নিউজিল্যান্ড। ল্যাথাম ও হেনরি নিকোলস কিছুক্ষণ উইকেট আগলে রাখার চেষ্টা করেছেন । দুজনের ৩৪ রানের জুটি ভেঙেছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, নিজের প্রথম ওভারেই। তাঁর লেগসাইডের শর্ট লেংথের বলটা তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলেছেন ল্যাথাম। নিজের পরের ওভারে নিকোলসকেও ফিরিয়েছেন সাইফউদ্দিন। নিকোলস তুলে মারতে গেলেও সে শটে জোর ছিল না তেমন। ল্যাথাম-নিকোলসের মাঝে কোল ম্যাকনকি ফিরেছেন সাকিব আল হাসানের বলে, ঘুরিয়ে খেলতে গিয়ে মিড উইকেটে ধরা পড়েন।


নিউজিল্যান্ড থমকে গেছে ৬০ রানেই
নিউজিল্যান্ড থমকে গেছে ৬০ রানেই
এবার দৃশ্যপটে আবির্ভাব মোস্তাফিজুর রহমানের। প্রথমে সোজা সিমের বলেই বোল্ড করেছেন এজাজ প্যাটেলকে। ডগ ব্রেসওয়েল ক্যাচ তুলেছেন মোস্তাফিজের কাটারে। আর জ্যাকব ডাফি শিকার হয়েছেন মিড-অন থেকে পেছন দিকে ছুটে সাইফউদ্দিনের নেওয়া দারুণ ক্যাচের। ১৭তম ওভারেই থমকে গেছে নিউজিল্যান্ড। এর আগে ২০১৪ সালে চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৬০ রানে অলআউট হয়েছিল কিউইরা।
রান তাড়ায় বাংলাদেশের ওপেনিং জুটির ওপর বাড়তি নজর ছিল তামিম ইকবাল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেওয়ার পর। তবে প্রথম ম্যাচে হতাশ করেছেন মোহাম্মদ নাঈম ও লিটন দাস। প্রথমে ম্যাকনকির ঝুলিয়ে দেওয়া বলে শর্ট এক্সট্রা কাভারে নিকোলসের হাতে ক্যাচ তুলেছেন নাঈম। পরে প্যাটেলের ঝুলিয়ে দেওয়া বলে আগ বাড়িয়ে খেলতে গিয়ে মিস করে স্টাম্পড হয়েছেন লিটন। ৭ রানের মধ্যে ফিরেছেন দুজন।

শুরুতেই নাঈমের পর ফিরেছিলেন লিটন
শুরুতেই নাঈমের পর ফিরেছিলেন লিটন

তবে দলে ফেরা মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে সাকিবের ৩০ রানের জুটি পরিস্থিতি খারাপের দিকে যেতে দেয়নি। দশম ওভারে রবীন্দ্র প্রথম আন্তর্জাতিক উইকেট পেয়েছেন সাকিবকে ফিরিয়ে। কাট করতে গিয়ে উইকেটকিপার ল্যাথামের হাতে ধরা পড়েন তিনি। সাকিব ৩৩ বলে করেছেন ২৫ রান। এরপর অবশ্য আর বিপদ ঘটতে দেননি মাহমুদউল্লাহ আর মুশফিক। জয় নিশ্চিত করার সময় মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত ছিলেন ১৪ রানে, মুশফিক ১৬ রানে।

সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ ৩ সেপ্টেম্বর, মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামেই।

0 Response to "নিউজিল্যান্ড থমকে গেছে ৬০ রানেই"

Ads on article

Advertise in articles 1

advertising articles 2

Advertise under the article