
নিজেকে ‘মন্ত্রীর এপিএস’ দাবি করা নারী স্বামীসহ গ্রেপ্তার
এই নারী প্রায় তিন বছর ধরে প্রতারণা করে আসছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজেকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদের এপিএস হিসেবে পরিচয় দেওয়া শান্তা চৌধুরী নামে এক নারী এবং তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ।
ভুয়া পরিচয় দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে মলি আক্তার ওরফে শান্তা চৌধুরী এবং তার স্বামী আতিক হোসেন ওরফে জয়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম ও ডিবি-উত্তর) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে অনলাইন গণমাধ্যম বাংলা ট্রিবিউন।
ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বলেন, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শান্তা চৌধুরী নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে নিজেকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইমরান আহমদের এপিএস পরিচয় দিয়ে একটি পোস্ট করা হয়। পোস্টটি ইমরান আহমেদের সহকারী একান্ত সচিব মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান দেখতে পেয়ে রমনা মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন।
ওই পোস্টে লেখা ছিল, “ধন্যবাদ জানাই মাননীয় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপিকে। আমাকে দুই বছরের জন্য এপিএস হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়ার জন্য।”
আসলে শান্তা চৌধুরী নামে কাউকে মন্ত্রী ইমরান আহমেদ চেনেন না। সে কারণেই তাকে এপিএস হিসেবেও নিয়োগ দেওয়ার প্রশ্নই আসে না।
এ বিষয়ে পুলিশের যুগ্ম কমিশনার বলেন, গোপন তথ্যের ওপর ভিত্তি করে রাজশাহী থেকে প্রতারক আতিক ও শান্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা মোবাইল ফোন পর্যালোচনা ও জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে বেশ কিছুদিন ধরেই প্রতারণা করে আসছিল তারা। শান্তা নিজেকে মন্ত্রীর এপিএস পরিচয় দিয়ে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ফেসবুক ও মেসেঞ্জারের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে। তারা মূলত বিদেশ যেতে ইচ্ছুক এমন ব্যক্তিদের টার্গেট করত।
তিনি আরও জানান, মাত্র ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করা শান্তা প্রায় তিন বছর ধরে প্রতারণা করে আসছিল
0 Response to "নিজেকে ‘মন্ত্রীর এপিএস’ দাবি করা নারী স্বামীসহ গ্রেপ্তার"
Post a Comment