-->
নওগাঁয় ড্রেস-স্টেশনারি দোকানে শিক্ষার্থীদের ভিড়

নওগাঁয় ড্রেস-স্টেশনারি দোকানে শিক্ষার্থীদের ভিড়

 

প্রায় দেড় বছর বন্ধের পর ১২ সেপ্টেম্বর খুলছে বিদ্যালয়। শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে যেনো প্রাণের সঞ্চার হয়েছে। স্কুল ড্রেসসহ প্রয়োজনীয় উপকরণের জন্য অভিভাবকরা ছুটছেন দোকানে। সেলাইয়ের দোকানে ভিড়, ভিড় স্টেশনারি দোকানেও।

অফিস সূত্র জানায়, জেলায় এক হাজার ৩৭৪ প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪৪৪ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১০৯ উচ্চ বিদ্যালয় ও ২২ স্কুল অ্যান্ড কলেজ রয়েছে। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক ১২ সেপ্টেম্বর সবগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। পাঠ উপযোগী করতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার কাজ শেষ হয়েছে।

সূত্র আরও জানায়, রোববার থেকে শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে ক্লাস করবেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কবে কোনোদিন কাদের ক্লাস নেওয়া হবে সে বিষয়ে একটি মৌলিক রুটিন তৈরি করা হয়েছে। এটি অনুসরণ করে সারাদেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান সম্পন্ন হবে।


একাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় পাঠদানও বন্ধ ছিল। তবে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের জন্য স্কুল থেকে কিছু প্রশ্নপত্র (অ্যাসাইনমেন্ট) সরবরাহ করা হয়েছিলো। অনেক শিক্ষার্থীর ইউনিফর্ম ও জুতা হচ্ছে না। শার্ট ও প্যান্ট ছোট হয়ে গেছে। স্কুল খোলার সংবাদ পেয়ে সন্তানদের নিয়ে সেলাইয়ের দোকানসহ শিক্ষা উপকরণ বিক্রির দোকানে ছুটছেন।

শহরের তুলাপট্টি, দেওয়ান মার্কেট ও পুরাতন সোনালী ব্যাংক রোডের রেডিমেট গার্মেন্ট পোশাকের দোকানে ইউনিফর্ম কেনার জন্য ভিড় দেখা গেছে। আবার জুতা, স্কুল ব্যাগ এবং স্টেশনারি (খাতা ও কলম) দোকানেও ভিড় দেখা গেছে।

সোহানুর রহমান সাফিন নামের এক শিক্ষার্থী জানায়, কুশাডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগে পড়ে সে। প্রায় দেড় বছর থেকে স্কুল বন্ধ রয়েছে। আগের যে প্যান্ট ও জামা ছিলো তা হচ্ছে না। বাবাকে সঙ্গে নিয়ে রেডিমেট পোশাক কেনার জন্য দোকানে আসছি।

সাইফুল ইসলাম নামের এক অভিভাবক বলেন, ছেলে আলিফ কেডি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। এরপর থেকে করোনাভাইরাসের কারণে স্কুল বন্ধ হয়ে যায়। ছেলে নতুন স্কুলে যাবে, নতুন স্কুল ড্রেস প্রয়োজন। তাই তাকে সঙ্গে নিয়ে রেডিমেট স্কুল ইউনিফর্ম কিনেছি।

শহরের বিসমিল্লাহ মার্কেটের সেঞ্চুরি টেইলার্সের মালিক রুমান বলেন, কয়েক দিনে শিক্ষার্থীদের বেশকিছু অর্ডার পেয়েছি। তবে স্কুল খোলার পর চাপ বাড়বে বলে মনে হচ্ছে।

নওগাঁ শহরের তুলাপট্টি মার্কেটের সুরমা গার্মেন্টসের মালিক বাবর আলী বলেন, দীর্ঘদিন থেকে স্কুল বন্ধ ছিল। আগের যে পোশাক ছিল তা বিক্রি হয়নি। স্কুল খোলার সংবাদে গত কয়েক দিন থেকে রেডিমেট তৈরি পোশাকের চাহিদা বেড়েছে।

0 Response to "নওগাঁয় ড্রেস-স্টেশনারি দোকানে শিক্ষার্থীদের ভিড়"

Ads on article

Advertise in articles 1

advertising articles 2

Advertise under the article