-->
নওগাঁয় শিক্ষার্থীর হাতের আংগুল কেটে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে কলেজের বড় ভাইয়েরা

নওগাঁয় শিক্ষার্থীর হাতের আংগুল কেটে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে কলেজের বড় ভাইয়েরা


 নওগাঁ জেলার ধামইরহাটের মেধাবী ছাত্র আনারুলের হাতের দুটি আংগুল কেটে হাত থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে তারই কলেজের বড় ভাইয়েরা।

গত ২৪ সেপ্টেম্বর সকাল আনুমানিক ৯ টায় একই কলেজের দু'জন বড় ভাই মেসের চাঁদা না দেয়ায় এমন নির্মম,জঘন্য ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে জানা গেছে।

ঘটনা সূত্রে জানা গেছে, নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলার চকউমার পাটারি পাড়ার বাসিন্দা নজরুল ইসলামের ছেলে আনারুল ইসলাম (২২) ২০১৭ সালে ধামইরহাট উপজেলা সদরস্থ সফিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ -৫ পেয়ে এসএসসি পাস করে বগুড়া পলিটেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট এ ভর্তি হন। বর্তমানে সে ৫ম সেমিস্টারে অধ্যায়নরত।পড়াশোনার জন্য মেসে থাকতে হবে,কিন্তু বাধ সাধে অন্যত্র।মেসে থেকে পড়তে হলেও দিতে হবে চাঁদা।এমন দাবি না মানায় ডান হাতের দুই টি আংগুল কেটে হাত থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে ছাত্র নামধারী কিছু সন্ত্রাসী।

আনারুল জানায় যে,মেসের রুমে ঢুকে প্রথমে মুখে কাপড় গুঁজে দিয়ে একটি ওয়াশ রুমে নিয়ে গিয়ে হাত পিঠমোড়া করে প্লাস দিয়ে ডান হাতের দুটি আংগুল কেটে বিচ্ছিন করে দিয়েছে। পরে তাকে অনেকটা গোপনে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
বর্তমানে সে ধামইরহাটে গ্রামের বাড়ীতে রয়েছে।

আনারুলের অসহায় মা সাহারা খাতুন জানান, আমি খুব গরীব মানুষ। চেয়ে এনে ছেলেকে লেখাপড়া করাচ্ছি।সেখানে সন্ত্রাসীরা আমার কলেজ পড়ুয়া ছেলের হাত কেটে দিয়েছে আমি এর সঠিক বিচার চাই।
এত বড় ঘটনার পরও কলেজ কর্তৃপক্ষ ও বগুড়া সদর থানা কি ভূমিকা পালন করেছেন? এমন প্রশ্ন উঠেছে সর্বত্র।
আজ ২৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে আনারুলের বাড়ীতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,সে একটি ছোট বেড়ার ঘরে শুয়ে রয়েছে। ঘরে জানালা নেই। বাড়ীতে খাবার নেই। চিকিৎসাও ঠিক মত হচ্ছে না। প্রথমে কথা বলতে চাননি। সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে বললেন, আমার জীবনতো শেষ। আপনি পারলে স্থানীয় সমাজ সেবা অফিসে বলে একটা প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দিলে ভালো হয় কারণ আমি অনেক গরীব।
তার মা কেঁদে জানান যে ভিকটিমকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ায় মুখ খুলছেন না।

এ বিষয়ে উমার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামানের মোবাইলে কল দিলে ফোন বন্ধ পাওয়ায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে জানার জন্য বগুড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রধানের নাম্বারে একাধিকবার ফোন করা হলে ও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

উক্ত বিষয়ে জানতে চাইলে ধামইরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি,ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল গণি বলেন,ঘটনা যেখানে ঘটেছে সেখানেই অভিযোগ দায়ের করা উচিত। তবে আমরা এ বিষয়ে জানিনা,অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।

0 Response to "নওগাঁয় শিক্ষার্থীর হাতের আংগুল কেটে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে কলেজের বড় ভাইয়েরা"

Ads on article

Advertise in articles 1

advertising articles 2

Advertise under the article