
৫ মিনিটের ব্যবধানে যুবককে দেওয়া হলো করোনার দুই ডোজ টিকা
সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলায় পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে যুবককে করোনার দুই ডোজ টিকা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন টিকাগ্রহীতা জাহেদুল ইসলাম (৩৪)। তিনি বিয়ানীবাজার উপজেলার মাথিউরা ইউনিয়নের নালবহর গ্রামের মৃত আবদুল মুক্তাদিরের ছেলে। আজ শনিবার বেলা একটার দিকে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনার টিকাকেন্দ্রের একটি বুথে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী জাহেদুল ইসলাম বলেন, এক মাস আগে সিনোফার্মের করোনার প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছিলেন তিনি ও তাঁর মা। গতকাল শুক্রবার টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার খুদে বার্তা আসে। আজ দুপুরে তাঁর মাকে সঙ্গে নিয়ে তিনি দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিতে যান। এ সময় প্রথম ডোজ নেওয়ার টিকার কার্ড সঙ্গে ছিল। মাকে নারীদের বুথে দিয়ে তিনি পুরুষ বুথে প্রবেশ করে টিকা নিতে যান। চেয়ারে বসে তিনি ডান হাতে প্রথমবার টিকা নেন। পরে দাঁড়িয়ে শার্টের বোতাম লাগাচ্ছিলেন। এ সময় টিকাদানকারী আবার তাঁকে বসতে বলেন। তিনি বসলে একই হাতে আরেকবার টিকা দিয়ে দেন। এ সময় তিনি টিকা নেওয়ার কথা জানালেও টিকাদানকর্মী তাতে কর্ণপাত না করে দ্বিতীয়বার টিকা পুশ করে দেন।
এ বিষয়ে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম আলী খান চৌধুরী বলেন, ‘ওই ব্যক্তি একেকবার একেক কথা বলছেন। একবার বলেন পুরুষ টিকাকর্মী টিকা দিয়েছেন, আবার বলছেন, নারী টিকাকর্মী টিকা দিয়েছেন। আমরা এ বিষয়ে আরও খোঁজখবর নিচ্ছি। সেই সঙ্গে ওই ব্যক্তির খবরও রাখছি। তিনি সুস্থ আছেন।’
সিলেটের ডেপুটি সিভিল সার্জন জন্মেজয় দত্ত বলেন, এমন ঘটনা এর আগে আরও দুটি উপজেলায় ঘটেছিল। টিকাদানকারী ও টিকাগ্রহীতা ব্যক্তিদের মধ্যে ভুল–বোঝাবুঝির কারণে এমন ঘটনা হয়ে থাকে। এতে দায় অস্বীকারের কোনো কারণ নেই। এর আগে দুটি ঘটনায় টিকাগ্রহীতা ব্যক্তিকে কয়েক দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল।
তাঁদের কোনো সমস্যা হয়নি। তিনি আরও বলেন, ‘বিয়ানীবাজারের ঘটনায় টিকাগ্রহীতাকেও পর্যবেক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। আমাদের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।’
0 Response to "৫ মিনিটের ব্যবধানে যুবককে দেওয়া হলো করোনার দুই ডোজ টিকা"
Post a Comment