-->
৫৮৯ কোটি টাকা নিয়ে উধাও ধামাকা শপিং!

৫৮৯ কোটি টাকা নিয়ে উধাও ধামাকা শপিং!

 

ঢাকা: ই-কমার্স বিজনেসের নামে প্রতারণার মাধ্যমে অন্তত ৫৮৯ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ।

ইভ্যালির মত চমকপ্রদ বিজ্ঞাপন ও ব্যাপক ডিসকাউন্টে পণ্য বিক্রির ফাঁদ তৈরি করে প্রতিষ্ঠানটি এ অর্থ আত্মসাৎ করেন বলে জানান যায়। বর্তমানে কোম্পানির অফিস বন্ধ রয়েছে।

অসুস্থতার অজুহাতে কোম্পানিটির মূল মালিক ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) জসিমউদ্দিন চিশতি পাড়ি জমিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে।

তবে নানা সময়ে ফেসবুকে লাইভে এসে কথা বলেন তিনি। গ্রাহকরা বলছেন, এসব লাইভে তিনি যেভাবে কথা বলেন, তাতে মনে হয়না তিনি অসুস্থ।

এদিকে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের বেশিরভাগ সদস্যও পালিয়েছোন।

রাজধানীর মহাখালীর বীরউত্তম একে খন্দকার সড়কের একোয়া টাওয়ারে দুটি ফ্লোরে ধামাকা শপিংয়ের দৃষ্টিনন্দন অফিস। তবে কোম্পানিটির এমডি জসিমউদ্দিন চিশতি যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানোর পর থেকেই
বন্ধ রয়েছে অফিসটি।

প্রথমদিকে হোম অফিসের কথা বলা হলেও বর্তমানে কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ। এমনকি বন্ধ রয়েছে কাস্টমার কেয়ার সেন্টারের ফোন নম্বরও।

তবে ধামাকা শপিংয়ের ফেসবুক পেজে এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, অনিবার্য কারণে কাস্টমার কেয়ারের ফোন নম্বরটিও বন্ধ করা হয়েছে।

চাকরি হারানো কোম্পানিটির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ধামাকা শপিং অন্তত চার মাস আগেই স্থায়ীভাবে ব্যবসা বন্ধ করেছে। এখন কেবল গ্রাহকদের আশ্বাস দিয়ে রাখছে, যাতে তারা টাকা ফেরত পেতে আন্দোলন না করেন।

তিনি বলেন, মালিকপক্ষের দেশে তেমন কোনো বিনিয়োগ নেই। সব টাকা সরিয়ে ফেলা হয়েছে। পরিচালকরাও দেশ ছেড়েছেন।

জানতে চাইলে ধামাকা শপিংয়ের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) সিরাজুল ইসলাম রানা অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, বিষয়টি নিয়ে কোম্পানির এমডি কাজ করছেন। সেলার ও কাস্টমারদের সঙ্গে জুম মিটিংয়ে কথা বলছেন।

এমডি বিদেশে চলে গেছেন, সেখান থেকে কীভাবে এ সমস্যার সমাধান করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশে না থেকেও তিনি কাজ করছেন।

এদিকে অপরাধ তদন্ত সংস্থা (সিআইডি) ধামাকা শপিংয়ের অর্থ আত্মসাৎ নিয়ে অনুসন্ধানে নেমেছে। সিআইডি থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, ধামাকা শপিং থেকে প্রতিষ্ঠানের অর্থ ওই প্রতিষ্ঠানের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা টাকা স্থানান্তর করে আত্মসাৎ করেছেন।

ধামাকা শপিংয়ের এমডি গ্রাহকদের ফেসবুকে লাইভে যে তথ্য দিয়েছেন তাতে বলা হয়েছে, এখনো প্রতিষ্ঠানটির তিন লাখ গ্রাহক রয়েছে। এর বাইরে রয়েছে ৬ হাজার সেলার।

এ বিষয়ে অপরাধ তদন্ত সংস্থা (সিআইডি) বিশেষ পুলিশ সুপার হুমায়ূন কবির বলেন, অনুসন্ধান করছি। এখনো বলার মতো কিছু নেই। তবে কোম্পানির এমডিসহ অনেকেই বিদেশে চলে গেছেন। যে অ্যাকাউন্টে লেনদেন পরিচালনা করা হতো, তাতে অল্প পরিমাণ টাকা রয়েছে। পাশাপাশি কোম্পানিসংশ্লিষ্ট অন্য যেসব অ্যাকাউন্ট রয়েছে তাতেও তেমন টাকা নেই।

0 Response to "৫৮৯ কোটি টাকা নিয়ে উধাও ধামাকা শপিং!"

Ads on article

Advertise in articles 1

advertising articles 2

Advertise under the article