-->
তৃণমূল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের শক্তিশালী সংগঠন থাকায় করোনা অতিমারির ভয়াবহতা মোকাবিলা করা সম্ভব হয়েছে।

তৃণমূল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের শক্তিশালী সংগঠন থাকায় করোনা অতিমারির ভয়াবহতা মোকাবিলা করা সম্ভব হয়েছে।

তৃণমূলে আ. লীগের সংগঠন থাকায় করোনা মোকাবিলা সম্ভব হয়েছে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তৃণমূল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের শক্তিশালী সংগঠন থাকায় করোনা অতিমারির ভয়াবহতা মোকাবিলা করা সম্ভব হয়েছে।

 বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

শেখ হাসিনা বলেন, আশ্রয়ন প্রকল্পে প্রায় দেড় লাখের মতো ঘর নির্মাণ করা হলেও মাত্র ৩০০টি ঘরে ত্রুটি ধরা পড়েছে। এরমধ্যে কিছু ঘর হাতুড়ি-শাবল দিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা ভেঙ্গে গণমাধ্যমে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা প্রচার করেছে।

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘সব থেকে দুর্ভাগ্য হলো আমি যখন সিদ্ধান্ত নিলাম প্রত্যেকটা মানুষকে আমরা ঘর করে দেব, আমাদের দেশের কিছু মানুষ এত জঘন্য চরিত্রের, আমি কয়েকটা জায়গায় হঠাৎ দেখলাম যে ঘর ভেঙে পড়ছে, কোনো জায়গায় ভাঙা ছবি ইত্যাদি দেখার পর পুরো সার্ভে করালাম কোথায় কী হচ্ছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘৩০০ টা ঘর (ভেঙেছে)- বিভিন্ন এলাকায় কিছু মানুষ নিজে থেকে গিয়ে হাতুড়ি-শাবল দিয়ে সেগুলো ভেঙে ভেঙে তারপর মিডিয়ায় সেগুলোর ছবি তুলে দিচ্ছে। তাদের নাম-ধাম এগুলো এনকোয়ারি করে সবগুলো বের করা হয়ে গেছে। আমার কাছে পুরো রিপোর্ট আছে। মানে গরিবের জন্য ঘর করে দিচ্ছি, তারা এভাবে যে ভাঙতে পারে, সেই ছবিগুলো দেখলে, দেখা যায়।’

ঘর ভেঙে পড়ার পেছনের কারণ মিডিয়া অনুসন্ধান করেনি অভিযোগ করে সরকার প্রধান বলেন, ‘মিডিয়া এগুলো ধারণ করে প্রচার করে, তারা কিন্তু এটা কীভাবে হলো সেটা কিন্তু দেখে না।’

তদন্তে ৯টি জায়গায় দুর্নীতি পাওয়া গেছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কয়েকটা জায়গায় দেখা গেছে, যেমন এক জায়গায় ৬০০ ঘর সেখানে হয়ত ৩/৪টা ঘর, ঐ যে প্রবল বৃষ্টি হলো যখন সেজন্য মাটি ধসে কয়েকটা ঘর নষ্ট হয়েছে। মাত্র ৯টা জায়গায় আমরা পেয়েছিলাম যেখানে কিছুটা দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে, মাত্র ৯টা জায়গায়।’

আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের অধীনে ঘর নির্মাণে সবাই আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি দেখেছি যে প্রত্যেকে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছে। যাদের ওপর দায়িত্ব দিয়েছিলাম, আমাদের ইউএনও-ডিসি সব কর্মচারীরা ছিল, তারা কিন্তু অনেকে নিজেরা এগিয়ে এসেছে এই ঘরগুলো তৈরিতে সহযোগিতা করার জন্য।’

তিনি বলেন, ‘যারা ইট তৈরি করে তারাও এগিয়ে এসেছে, অল্প পয়সায় তারা ইট দিয়ে দিয়েছে। এভাবে সবাই। সবার সহযোগিতা, আন্তরিকতাটাই বেশি। কিন্তু এর মধ্যে দুষ্টুবুদ্ধির কিছু লোক, এটাই হচ্ছে সবচেয়ে কষ্টকর। যখন এটা গরিবের ঘর, সেখানে তারা হাত দেয় কীভাবে।’

নেতা-কর্মীসহ সংশ্লিষ্টদের আরও সর্তক থাকার নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যাই হোক আমরা সেগুলো মোকাবিলা করেছি। তবে আমাদের নেতা-কর্মীদের এ ব্যাপারে আরও সর্তক থাকা দরকার।’

0 Response to "তৃণমূল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের শক্তিশালী সংগঠন থাকায় করোনা অতিমারির ভয়াবহতা মোকাবিলা করা সম্ভব হয়েছে।"

Ads on article

Advertise in articles 1

advertising articles 2

Advertise under the article